ভুমিকাঃ
যুব সমাজ একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি । যুবসমাজের সাহসিকতা, মেধা, দক্ষতা ও প্রতিভা একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের নিয়ামক । তাই অর্থনৈতিক , সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রতিটি স্তরে যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহন অপরিহার্য ।
জাতীয় যুবনীতি অনুসারে ১৮- ৩৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীকে যুব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে । এ বয়স সীমার জনসংখ্যা দেশের মোট জন সংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ । প্রতিশ্রুতিশীল, মেধাবী, সাহসী ও শৃজনশীল জনসংখ্যার এ বিরাট অংশকে উৎপাদনমূখী ও দক্ষ করে গড়ে তুলে উন্নয়নের মূল ধারায় সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে চলেছে । দেশ গঠনে যুব সমাজের দ্বায়িত্ববোধ জাগ্রত করা , গঠন মূলক মানসিকতা সৃষ্টি ও সুশৃংখল কর্মীবাহিনী হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর শুরু থেকেই বিভিন্ন বাস্তবমূখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে । যার সুফল ইতোমধ্যেই জাতীয় কর্মকান্ডে প্রতিফলিত হচ্ছে ।
১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নামকরণ করা হয় । ১৯৮১ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয় ।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মপরিধিঃ
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যবন্টন (রুলস অফ বিজনেসের ১ নং তফসিল) অনুযায়ী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপর নিম্নবর্ণিত কার্যাদি অর্পিত হয়েছেঃ
- যুবদের কল্যাণ, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ক সকল কার্যাদি ।
- উন্নয়নমূলক কাজে যুবদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা ।
- যুবদের কল্যাণের জন্য সংস্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযোগ রাখা ।
- নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য অর্থ মঞ্জুরী ।
- যুব পুরস্কার প্রদান ।
- যুবদের দায়িত্বশীল, আত্ববিশ্বাসী এবং অন্যান্য মানবিক গুনাবলী অর্জনে উৎসাহ প্রদানের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ ।
- যুব উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর গবেষণা ও জরিপ ।
- বেকার যুবদের জন্য কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ ।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভিশনঃ
- অনুৎপাদনশীল যুবসমাজকে সুগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমূখী শক্তিতে রূপান্তর করা ।
- দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুবদের কর্মসংস্থান কিংবা স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ।
- জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেকার যুবদের সম্পৃক্ত করা ।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্দেশ্যাবলি
- উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষন, ক্ষুদ্রঋণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে যুবদের কর্মসংস্থান ও আত্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করাসহ দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তাদের সম্পৃক্ত করা ।
- বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী যুবসংগঠনের মাধ্যমে গোষ্ঠী উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য যুবদের বিভিন্ন গ্রুপে সংগঠিত করা ।
- স্থানীয় পর্যায়ে যুব সংগঠনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা।
- যুবদের গণশিক্ষা কার্যক্রম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবেশ উন্নয়ন, সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি আর্থ-সামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্তকরণ এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, এইচাইভি/এইডস এবং এস টি ডি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ।
- যুবদের ক্ষমতায়নের নিমিত্বে আত্বকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প স্থাপন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগদানের লক্ষ্যে তাদের দক্ষতাবৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষণ, আত্বকর্মসংস্থান ও ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ।
সাংগঠনিক কাঠামোঃ
মহাপরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা । তাঁকে সহায়তা করেন ৫ (পাঁচ ) জন পরিচালক,বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। এ অধিদপ্তরের আওতায় ৬৪ টি জেলায়, ৪৭৬ টি উপজেলায় এবং ১০ টি মেট্রপলিটান ইউনিট থানা কার্যালয় রয়েছে।এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারা দেশে ১১১ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে মোট ৬,৬৭২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যক্রমঃ
যুবসমাজকে সুশৃঙ্খল ও সুগঠিত করে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্তকরণ এবং সঠিক দিক নির্দেশনা, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে নিম্নবর্ণিত কর্মসূচি চালু রয়েছেঃ
- বেকার যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষন কর্মসূচি ।
- যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত প্রশিক্কণ কোর্স ।
- যুবসংগঠকদের প্রশিক্ষন কোর্স ।
- কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রশিক্ষন ।
বেকার যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিঃ
বেকার যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা আত্বকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা যুব উন্নয়ন অদিদপ্তরের অন্যতম প্রধান কাজ। মূলত এ প্রশিক্ষণ দুই ভাবে ভাগ করে করা হয় ।
১। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণঃ- যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সারা দেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১ মাস থেকে ৬ মাস মেয়াদী প্রায় ৩৫ টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তাই মূলত প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ । ( প্রশিক্ষণ পাতায় ক্লিক করুন)
২ । অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ । সারা দেশে সকল উপজেলায় সাধারণত ৭/১০/এবং ১৫ দিন মেয়াদী যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তা হলো অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ।( প্রশিক্ষণ পাতায় ক্লিক করুণ )।
কিছু ফন্ট দেখা যাচ্ছেনা। দয়া করে দেখুন। অন্য কোনো ফন্ট দিলে ভাল হয়। যেমন sutonnyomj, solaimanlipi, syamrupali. এদের দেখতে ভাল দেখায়।
একটি ভাল উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ।
মান্নান
ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি পরিবর্তন করে সাধারণ থিম হলে ভাল হয়।
H s c পাস বেকার যুবকের জন্য কোন কোর্সটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?? একটু ধারণা দিলে উপকৃত হতাম,,,শারিরিক গঠন,ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি বিদ্যমান,,,,বয়স ২২।৫” please.যেকোন কোর্স করতে আগ্রহী,,,,
চট্টগ্রাম এ যুব উন্নয়ন কোর্স এ ভর্তি কবে?
যাদের ৫০বা ততোধিক তারা অংশ গ্রহন করার সুযোগ আছে কি?
বিদেশ ফেরত ৫০ বছর, প্রাথমিক চিকিৎসা তথা ভেষজ চিকিৎসায় প্রশিক্ষন নিতে চাই।কি করতে পারি পরামর্শ চাই।
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩ ওয়াতসাফ